মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে মেহেদী হাসান তানিমঃ নাটোরর গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম একজন মানবদরদী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ইতিমধ্যে সর্বমহলে পরিচিতি অর্জন ও সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকে এর বিরুদ্ধে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন।
তিনি মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য মনে করে ও ভয়কে জয় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা, করোনারোগীদের বাড়ি লকডাউন করা, কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া ও সচেতন করাসহ নানাভাবে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। মহাদুর্যোগ মুহূর্তে এলাকাবাসীর পাশে সার্বক্ষণিক থাকার মানসে তিনি থানায় ‘ঘরবসতি’ গড়ে তুলেছিলেন। পুলিশ জনতা-জনতাই পুলিশ” এই স্লোগান ধারণ করে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। তারই অংশ হিসেবে মানবিক পুলিশিং করে চলেছেন । করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই তা মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ে তার অংশ গ্রহন ছিল চোখে পরার মতো। সাবান পানি দিয়ে হাত ধৌত করা, হোম কোয়ারেনটাইন থেকে শুরু করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা পর্যন্ত সকল বিষয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। বিতরণ করেছেন খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক, স্যানিটাইজার । জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য নিজে মাইক নিয়ে পুরো গুরুদাসপুর থানা চষে বেড়িয়েছেন । অসহায় কর্মহীন মানুষকে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কারণে এখানকার মানুষও দোয়া করছেন। তাছাড়া চলতি বন্যায় চলনবিলের দূর্গম এলাকায় নিজে গিয়ে বানভাসি মানুষদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন ।
ওসি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । গুরুদাসপুর থানায এলাকার, জনগণকে উনার বন্ধু বানিয়ে ফেলেছেন, এযাবতকালে উনার থানাধীন জনগণকে নিষ্ঠার সাথে সেবা দিয়ে আসছেন তিনি । করোনাকালে যারা প্রকাশ্যে খাদ্য সহায়তা নিতে লজ্জাবোধ করেন তাদের জন্যা হ্যালো ওসি সেবা চালু করেছেন । ওসির মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া মাত্র খাদ্য সামগ্রী পৌচ্ছে দিয়েছেন । মহামারী করোণায় উল্লেখযোগ্য কিছু সেবা দিয়ে আসছেন, যেমন অসহায় মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, রমজানে রোজাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা, অসুস্থ হলে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং ওনার থানা এলাকায় মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কঠোর হাতে হস্তক্ষেপ করা, এর মাধ্যমে আবার কাউকে ভালোবাসা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে, এককথায় উনি ওসি মানবতার ফেরিওয়ালা ।
গুরুদাসপুর থানা এলাকায় ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেল ওসি মোজাহারুল ইসলাম যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অতীতের ওসি গুলো এরকম পারে নাই, এইটা গুরুদাসপুর থানার জনগণের মুখের কথা, অনেকে বলেছেন ওসি সাহেবকে আমরা রাতের দুইটা হলেও ফোন দিলে পাই, ও ফজরের সময় ও ফোন দিলে পাই, অনেকে উনার দীর্ঘ আয়ু কামনা করছে, যেন উনি এই থানাতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকেন। এদিকে যোগদানের পর থেকেই আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে চলছেন। মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম। শুধু এ থানায় নয় মানবসেবার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে তার কর্মজীবনে। ১৯ মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী ও প্রিয় সন্তানদের স্নেহ ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করে ও নিজে বঞ্চিত হয়ে তাদের থানা কোয়ার্টারের বাসায় ফেলে রেখে গুরুদাসপুর থানায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করছিলেন।
ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, দেশ ও মানুষের সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছি। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমৃত্যু দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। একজন মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকা আমাদের সকলের কর্তব্য। তাই মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে আমি তার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য এখন মানবিকতার সাথে কাজ করছে। মানুষ বিপদে পরলে আগে স্মরণ করে পুলিশের কথা তাই পুলিশকেও মানবিক বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
‘মানবতার ফেরিওয়ালা’-খ্যাত এ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তায় হচ্ছেন প্রকৃত করোনা যোদ্ধা । বিপদে বন্ধুর পরিচয় । করোনাকালে জনগণের এই সংকটে মোজাহারুল ইসলামের মতো মানবিক কর্মকর্তারা প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন ।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply