বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
আজকের দিগন্ত শামীম হাসান সীমান্ত :— আশুলিয়ায় পথে পথে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পথচারী ও ব্যবসায়ীরা । চলতি পথে সড়কের মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। খুশি হয়ে ১০ টাকা দিলে তা গ্রহণ করে না। দিতে হয় ন্যূনতম ২০ টাকার নোট । জনসাধারনের দাবি হাতি কিভাবে বুঝবে টাকার হিসেব! এটা হাতি চালকের চতুর কৌশলের কারণে এমনটা হচ্ছে। এ কৌশলেই বিভিন্ন হাট বাজারে ঢুকে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে এ চাঁদাবাজি। রাস্তাঘাটে যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে টাকা আদায়ের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। হাতির শুঁড় দিয়ে মানুষ ও যানবাহন থামানোর কারণে ভুক্তভোগীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় আকৃতির একটি হাতির পিঠে বসে আছে ১২/১৫ বছর বয়সের এক যুবক ।এ যুবককে পিঠে নিয়ে হেলেদুলে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে শুঁড় উঁচু করে জানাচ্ছে সালাম। এ ছাড়া হাতি রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারীরা। আশুলিয়া,পল্লিবিদ্যুৎ, ডেন্তাবর কাঁঠালবাগান, নবীনগর সহ আশুলিয়ার ভিবিন্ন সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এ দৃশ্য দেখা যায় নিয়মিত। পথচারি মামুনুর রশিদ জানান, হাতিকে ২০ টাকা করে দিতে হবে। কারণ হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরছে। ২০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করে না।
রাস্তার পাশের ব্যবসায়ীরা জানান, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পান না। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও টাকা আদায় করছে হাতি। আর এর উদ্দেশ্য একটাই। তা হলো টাকা নেওয়া। আর টাকা পেলেই তা ধরিয়ে দিচ্ছে পিঠে বসা মালিকককে। এভাবেই দোকানে দোকানে সালাম দিয়ে আদায় করছে টাকা। দোকান মালিকদের কেউ ১০ টাকার কম দিলে ওই টাকা না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে হাতি। পরে টাকা পেয়ে শুঁড় দিয়ে ওই টাকা নিয়ে তার পিঠে বসা মালিককে ধরিয়ে দিচ্ছে। সেখান থেকে আরেক দোকানে গিয়ে একইভাবে টাকা আদায় করছে।এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে সাধারন জনগন। কেউ কেউ একে নিছক বিনোদন ভাবছেন। আবার কারো কারো অভিযোগ এটা একটা ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজি।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply