বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা, আর তা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কিছু মেগা প্রকল্প সংযুক্ত হয়েছে। এগুলো বাস্তাবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ওয়াসাসহ যে সকল সরকারি, স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাদের পারস্পরিক সমন্বয় প্রয়োজন।
মেয়র আজ বুধবার (২২ জুলাই) সকালে শুলকবহর ওয়ার্ডস্থ নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৪ ও ৫ নং সংযোগ সড়কে ব্রিজ নির্মাণ কাজ, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নকৃত রাস্তা ও দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ৪র্থ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু সিদ্দিক, কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, সহকারী প্রকৌশলী মিসবা উল আলম, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির সেক্রেটারি মো. শাহাজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
আরও পড়ুনঃ চীনের ভ্যাকসিন প্রয়োগে কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার– স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, নগর উন্নয়নে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেভাবে যা কিছু দরকার তা করতে তিনি উদ্যোগী। তার এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেন। এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে পরবর্তীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন রাজনীতিক হিসেবে তিনি যে অবস্থানিই থাকেন না কেন তাতে একাত্ব হবেন। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর উপর প্রবাহিত ৩৬টি খাল পানি নিষ্কাশনের প্রধান নির্গমন পথ। এ নগরীতে যেগুলো পাহাড় পরিবেষ্টিত এলাকা রয়েছে তা থেকে যে মাটি নিচে নেমে আসে তার ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা আগেই গ্রহণ করা উচিত ছিল। যে সকল উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব দেন মেয়র।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ ইতিবাচক– তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি ও আধাসরকারি সংস্থার কর্তৃপক্ষগণ সরকার নিযুক্ত ও নিয়োগকৃত। তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র পদে থেকে জবাবদিহিতার সকল দায়ভার তার। এই দায় বহন করে তিনি কি করতে পেরেছেন বা কি করতে পারেন নি তার মূল্যায়ন নগরবাসীর উপর ছেড়ে দেন মেয়র। তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিত নগরায়নের ক্ষেত্রে যে কোন আবাসিক এলাকায় যুগোপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে যেখানে অধিবাসীদের জীবন স্বাচ্ছন্দ হবে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাপনাকে সক্রিয় রাখতেই আজ যে প্রকল্প শুরু হলো তার সুষ্ঠু ও যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সকলেই উপকৃত হবেন। এসময় মেয়র প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply