বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
বেতাগী( বরগুনা) থেকে অলি আহম্মেদঃ উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মানোন্নয়নের দাবিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃদ সালেহীনের মাধ্যমে জাতীয় যুব সংগঠন ধ্রুবতারার পক্ষ থেকে তার কার্যালয় এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে জনস্বার্থে ও দ্রুত এখানকার মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মানোন্নয়নে ফ্রিকোয়েন্সি সাপোর্ট কভারেজ এরিয়া বৃদ্ধি, শতভাগ স্ট্রং সিগন্যাল নিশ্চিতকরণ এবং দেশের সকল নেটওয়ার্ক সমানভাবে ব্যবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করে এখানকার সকল নেটওয়ার্কিং সমস্যা দূর করতে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর নিকট দাবি জানানো হয়। এর আগে গত ২৮ আগষ্ট সংগঠনের একটি কর্মশালায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও যুবকরা সরকারের প্রতি একই দাবি করেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মাকসুদুর রহমান ফোরকান, ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান, মাহবুবুল আলম সুজন, ধ্রæবতারা আন্তর্জাতিক ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ডিলি‘র ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম মন্টু, ধ্রুবতারা ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক অলি আহম্মেদ, জেলা সহ-সভাপতি মিঠুন দে, উপজেলা সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন বাপ্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হোসেন আলী সিপাহী সহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যূষিত এ উপজেলার বাসিন্দারা গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক সকল ধরনের নেটওয়ার্ক একসাথে ব্যবহার করে আসছে। বাড়ছে দিন দিন পাল্লা দিয়ে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা। দুঃখের বিষয় এখানে থ্রী-জি, ফোর-জি নেটওয়ার্ক বিদ্যমান থাকলেও রিয়েল স্পিড পাওয়া যায় না। মুঠোফোনে, ইন্টারনেট স্পিড কম, বাসায়, দোকানে,অফিসে নেটওয়ার্কের একই হাল ফলে মুঠোফোনে ঠিকমতো কথা বলা যায় না। বিভিন্ন মোবাইল এ্যাপস, ইমু, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, জুম, ফেইজবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে দেশ বিদেশে অডিও-ভিডিওতে কথা বিনিময়, গুরুত্বপূর্ণ সভা কিংবা কর্মশালা অনুষ্ঠানে সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে করোনা সংকটের এ সময় রোগীরা অনেকেই হাসপাতালে আসতে অনীহা প্রকাশ করলেও নেটওয়ার্ক বিড়াম্বনায় টেলিমেডিসিন সেবা নিশ্চিত করা যায় না।
উপজেলার দক্ষিণ বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা বরিশাল বি.এম কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস কলি করোনা সংকটে বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। সে বলেন, ‘নেটওয়ার্ক সমস্যায় অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে পাঠদানে পিছিয়ে পড়ছি। ’ ভুক্তভোগী বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবুল বাসার জানান, করোনার প্রভাবে প্রতিষ্ঠানের রুটিন অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস নিতে গিয়ে ইন্টারনেটের শ্লথগতির ফলে প্রতিষ্ঠানের দেয়া নির্ধারিত সময় পাঠদান সম্ভব হয়না। অপেক্ষার কারনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সময় অপচয় হওয়ায় মানষিক অস্বস্তিদায়ক পরিবেশে পড়তে হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তবুও সিম অপারেটর কোম্পানীগুলোর গ্রাহকদের সেবার মানের প্রতি আদৌ কোন গুরুত্ব নেই। তারা সেবার চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে গ্রাহকদের শোষন করছে। ফলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানের কর্মসূচি পিছিয়ে পড়ছে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃদ সালেহীন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ দাবির বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি। যতদ্রুত সম্ভব এটি বরগুনা জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হবে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply