বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জ (কাজিপুর) থেকে মোহাম্মদ আশরাফুলঃ— করোনা আতঙ্কে থমকে গেছে কাজিপুরের জনজীবন। বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে বেড়োচ্ছেন না। নিত্য প্রয়োজণীয় জিনিসপত্র কিনতে যারা বেড়োচ্ছেন তারাও মুখে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করছেন। কমে গেছে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা। সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের সাথে বাস যোগাযোগও সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে চিরচেনা কোলাহলমুখর বিপনি বিতানগুলোতে এখন রাজ্যের নিরবতা বিরাজ করছে। নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরেই ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে কাজিপুর পৌর শহর। দিন যত গড়াচ্ছে ততই চারদিকে বাড়ছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ।
আরও পড়ুনঃ সন্ধ্যার পর কাজিপুরের সকল টি স্টল বন্ধ থাকবে- ইউএনও
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এরই মধ্যে সরকারি নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার মেঘাইতে অবস্থিত ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এখন পুরোটাই ফাঁকা। বন্ধ হয়ে গেছে সোনামুখী-বগুড়া, সোনামুখী-রাজশাহী বাস্স্ট্যান্ড। যাও বা দু’একটি পরিবহণ আছে তাতে নেই আগের মতো চাপ। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা। খাবার হোটেলগুলো শুধু বন্ধের অপেক্ষায়। ঔষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলো চলছে। সেগুলোতেও আগের মতো বেচাকিনি নেই। তবে বেড়ে গেছে কিছু কিছু জিসিনপত্রের দাম। পেঁয়াজের দাম বাড়লেও এখন স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু চালের বাজার এখনও বাড়তি। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সোনামুখী বাজারে দুধ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা লিটার। দুধ বিক্রেতা আকবর আলী জানান, ‘ঘোষেরা দুধ কিনছে না। ফলে আমরা সঠিক দাম পাচ্ছি না।’ উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে ভিড় দেখা গেছে। ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলছেন।
আরও পড়ুনঃ সাটুরিয়ায় ছাএলীগের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ও সাবান বিতরণ
কাজিপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, ‘খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে আমরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। এ কারণে লোকজন খুব একটা চলাচল করছেন না।’ তবে কর্মজীবি মানুষ বাইরে বের হলেও তাদের চোখমুখে এক ধরণের আতঙ্কের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘সরকারি সিদ্ধান্তে আমরা সাধারণ জনগণকে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেড়োতে নিষেধ করেছি। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লোকসমাগমের স্থানগুলো।’
আরও পড়ুনঃ নলডাঙ্গায় নিত্যপণ্যের দাম বেশি নেওয়ায় ৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা, মোমেনা পারভীন জানান, ‘ কাজিপুরে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে এ পর্যন্ত ২৪ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিন পার করা একজন আজ ছাড়পত্র নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন।’
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস থেকে সর্তক থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজিপুরের ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মাইকিং করা হয়েছে । বিতরণ করা হয়েছে জনসচেতনতামূলক লিফলেট। থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply