সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
বান্দরবান (লামা) থেকে জাহিদ হাসানঃ— বান্দরবানের লামা থানার মামলা নং- ০৭, তাং- ২৫/১১/২০১৫ইং, ধারা- ৩৬৪/৩৬৫/৩৮৫/৩৪ দঃ বিঃ এর রহস্য উদঘাটন, আত্নগোপনকারী ভিকটিম কে উদ্ধার, বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি গ্রহনের ব্যবস্থা , সর্বোপরি নিরাপরাধ ২টি পরিবারকে মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানে বিশেষ ভুমিকা পালন করায় আজ ২০ নভেম্বর রোজ বুধবার চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত মাসিক অপরাধ সভায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী অফিসার হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম, পিপিএম(বার) মহোদয়ন নিকট হইতে সম্মাননা পুরষ্কার স্বরূপ ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহন করেন ।
আরও পড়ুনঃ লামায় খুন করে মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর সময় দুই জন আটক
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারবৃন্দ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সকল থানার অফিসার ইনচার্জ গণ, সাংবাদিকবৃন্দ।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানান- তিনি উক্ত মামলার ০৬নং তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে তদন্তভার গ্রহন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গত ২১/০৫/২০১৯ইং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিয়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ ৪ বছরের আত্মগোপনকারী ভিকটিম মোঃ ফারুক উসমান (২৯), পিতা- মোঃ হোসাইন, সাং- উত্তর সুতুরিয়া, ধলঘাট ইউপি, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজারকে ডিএমপি, ঢাকার উত্তরখান থানা এলাকার ময়নারটেক নামক স্থানে অবস্থিত প্রমি এগ্রো ফুড লিমিটেড হইতে সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্বরত অবস্থায় গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। অত্র মামলার আত্নগোপনকারী ভিকটিম ও ০১নং সাহাব উদ্দিন, ০২নং নেজাম উদ্দিন বিবাদী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা হয়। ভিকটিমের সাথে সূত্রোক্ত মামলার ০১নং বিবাদী শাহাব উদ্দিন (৪০) এর সাথে যৌথভাবে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর নতুন বাজারে দীর্ঘদিন রবি কোম্পানীর ডিলারশীপের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার কারণে ০১নং বিবাদী শাহাব উদ্দিন ভিকটিম (আত্নগোপনকারী) কে প্রায় ৪০ লক্ষ দেয়। দীর্ঘদিন ব্যবসা করার পর রবি কোম্পানী তাহাদের ডিলারশীপ বাতিল করে দিলে ০১নং বিবাদী ভিকটিম হইতে তাহার শেয়ার ও লভ্যাংশ ফেরত চায়। তখন ওসমান ফারুক তা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করে। চেকগুলো সমূহ ০১নং বিবাদী ব্যাংক হইতে উত্তোলন করিতে না পারিলে সে ভিকটিমের(আত্নগোপন কারী ওসমান ফারুক) বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত- ০৪, কক্সবাজার জেলায় সিআর মামলা নং- ১১২৬/২০১৫, সিআর মামলা নং- ১১৫৮/২০১৫, সিআর মামলা নং- ১১৮৪/২০১৫ এবং অপর মহেশখালী থানার মামলা নং- ০৫/২৮২, তাং- ০৮/০৯/২০১৫ইং, ধারা- ৩৮১/১০৯ দঃ বিঃ দায়ের করেন। যাহা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন। ভিকটিমের বিরুদ্ধে উক্ত মামলাগুলো দায়েরের পর হইতে ভিকটিম মামলার ভয়ে নিজেকে এলাকা হইতে আত্মগোপন করিয়া কিছুদিন চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় অবস্থান করে। পরবর্তীতে ভিকটিম তাহার প্রবাসী জনৈক বন্ধুর মাধ্যমে নিজেকে কামাল হোসাইন, পিতা- মমতাজ আহাম্মদ, সাং- পানির ছড়া, ডাক- ধলঘাট ইউপি, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার এর পরিচয় ব্যবহার করে ছদ্মনামে পাসপোর্ট প্রস্তুত করিয়া গত ০২/১১/২০১৫ইং তারিখে ওমান গমন করেন। ভিকটিম ওমানে যাওয়ার পর তাহার আপন ভাই মনির
আরও পড়ুনঃ জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি বাথোয়াইচিং মারমা শুভ কামনা
উদ্দিন বাদী হয়ে বিবাদীদের হয়রানি, আপোষে আনার জন্য তাহাদের পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ার অপকৌশল হিসাবে সূত্রোক্ত মামলাটি দায়ের করেন। ভিকটিম ওমানে প্রায় ০২ বছর অবস্থান করিয়াছিল। পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ শেষ হইলে সে বাংলাদেশে ফেরত আসিয়া পূর্ব ছদ্মনাম ব্যবহার করিয়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাকুরী করে। সর্বশেষ ঢাকার উত্তর খান এলাকার ময়নারটেক নামক স্থানে প্রমি এগ্রো ফুড লিমিটেড এ সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করিয়া নিজেকে আত্মগোপন রাখিয়া পরিবার পরিজনদের সাথে বিভিন্ন মোবাইল ও সীম ব্যবহার করে যোগাযোগ করিয়া আসিতেছিল। তাহার ব্যবহৃত মোবাইলের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি পরিচালনা করিয়া প্রমি এগ্রো ফুড লিমিটেড হইতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরীরত অবস্থায় গ্রেফতার হয়।ভিকটিম বিজ্ঞ আদালতে তাহাকে কেউ অপহরণ করে নাই এবং সে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছে মর্মে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলাটি তদন্তকালে মামলার বাদী মনির উদ্দিন ও ভিকটিম আত্মগোপনকারী মোঃ ফারুক ওসমান (২৯), উভয়পিতা- মোঃ হোসাইন, সাং- উত্তর সুতোরিয়া, ০২নং ওয়ার্ড, ধলঘাট ইউনিয়ন, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার, বর্তমানে- দক্ষিণ হায়দারনাশী, ০৬নং ওয়ার্ড, ০৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউপি, থানা- লামা, জেলা- বান্দরবানদ্বয় পরষ্পর যোগসাজসে পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ার অপকৌশল হিসেবে অত্র মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করায় এজাহারনামীয় আসামীদের অত্র মামলার দায় হইতে অব্যাহতি এবং বাদীসহ তাহার ভাই আত্মগোপনকারী ভিকটিম মোঃ ফারুক ওসমান এর বিরুদ্ধে দঃ বিঃ আইনের ২১১ ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মতামত প্রকাশ করিয়া ফাইনাল রিপোর্ট মিথ্যা দাখিল করেন।
লামা থানার এসআই আয়াত উল্লাহ বলেন, যেকোন পুরস্কার পেলে সবারই ভালো লাগে। তবে পুলিশ বিভাগে এ পুরস্কার খুবই মর্যাদাপূর্ণ। পুরস্কার পাওয়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে আরও গতি পাবো বলে আশা করছি। এছাড়া তিনি লামা থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা, থানার সকল অফিসার ফোর্স, লামা সার্কেল, বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার এর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply