বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
কৃষিবিদ কামরুল ইসলামঃ দেশব্যাপী শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২০। মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ০১ (এক) কোটি চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচির উদ্ধোধন করেছেন। এ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে তেতুঁল, ছাতিয়ান ও চালতা গাছের চারা রোপণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বৃক্ষরোপণের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিটি উপজেলা ৬৬০ টি করে ফলদ ও ওষুধী গাছ রোপণ করছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে সারা দেশে ০৭ কোটি গাছ রোপণ করা হবে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোপণের জন্য দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ০৫ হাজার করে চারা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ শতকরা ২৫ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি নাগরিককে ০১ টি ফলদ, ০১ টি বনজ ও ০১ টি ওষুধি গাছ রোপণের আহŸান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ হাই-স্পীড ইন্টারনেটের আওতায় কেরাণীগঞ্জ
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বনজ, ফলজ, ভেষজ, শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ ও অন্যান্য উদ্যান ফসলের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭০ ধরনের ফল, ৯০ ধরনের শাকসবজি, ৩০ ধরনের মসলা জাতীয় ফসল ও বিভিন্ন রকমের ফুল, বনজ, ভেষজ ও শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এইসব বনজ, ফলজ, ভেষজ ও শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ অর্থনৈতিক, পরিবেশসহ পুষ্টি সরবরাহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চারা সরবরাহের নিমিত্তে সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে উঠেছে হাজারো নার্সারী। লাভজনক হবার কারণে নার্সারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। সরকারী নিবন্ধিত নার্সারীর পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের নার্সারীগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে এই শিল্পের বিকাশে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া প্রয়োজন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ১৯৭৪ সালে রাজধানীর গুলশানে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে নার্সারী চালু হয়। বর্তমানে নিবন্ধনকৃত নার্সারীর সংখ্যা ১৮০০০ এর বেশি। নিবন্ধনের বাহিরেও গড়ে উঠেছে ব্যক্তি পর্যায়ে আরো প্রায় হাজার খানেক নার্সারী। এই সব নার্সারী থেকে প্রতি বছর প্রায় ১০-১৫ কোটি ফলদ, বনজ, ভেষজ ও শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা বিক্রি হয়। প্রায় ০৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থাপন হয় এই খাত থেকে।
নার্সারী হলো এমন একটি জায়গা, যেখানে বৈজ্ঞানিকভাবে ফুল, ফল, সবজি, ভেষজ ও বনজ গাছের চারা ও কলম উৎপাদন, বিক্রি বা বাজারজাত করার পূর্ব পর্যন্ত পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করা হয়। নার্সারীর মূল উদ্দেশ্য হলো, বৃক্ষ রোপণের জন্য উন্নতমানের চারা সরবরাহ করা।
উদ্ভিদের জাত উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নার্সারীর ভুমিকা অপরিসীম। সঠিক জাত সংগ্রহ, মার্তৃগাছ নির্বাচন, উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন মেনে জার্মপ্লাজম সংগ্রহ ও সেগুলো মাল্টিপ্লিকেশন করা ইত্যাদি নানাবিধ নিয়ম মেনে একটি নার্সারী পরিচালিত করতে হয়। সঠিকভাবে নার্সারী পরিচালনার জন্য রয়েছে “নার্সারী গাইডলাইন ২০০৮ ”। সঠিক গাইডলাইন মেনে নার্সারী ব্যবসা পরিচালনা না করলে, অনেক সময় অনাকাঙ্খিত চারা বা জার্মপ্লাজম সংগ্রহের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সরকারী নিবন্ধিত নার্সারীর বাহিরেও গড়ে উঠছে অনেক নার্সারী, যারা সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করছে না। ফলে গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছে, চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সক্রিয় রয়েছে এই প্রতারক চক্র। এইসব ভুঁইফোড় নার্সারীগুলোর নাই কোন নিজ্স্ব নার্সারী বা ঠিকানা, শুধুমাত্র অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে এই চক্রটি। সুনির্দিষ্ট ঠিকানা ব্যবহার না করার দরুণ প্রতারণাকারী নার্সারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বেগ পেতে হচ্ছে নার্সারী নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এতে ভোক্তা তার অধিকার আদায়ে বঞ্চিত হচ্ছে; অন্যদিকে সম্ভাবনাময় এই শিল্প সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে সরকারী, বেসরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি গ্রাহকদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এইজন্য নার্সারী গাইডলাইন ২০০৮ সঠিকভাবে অনুসরণ করে নার্সারী ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। সেইসাথে গ্রাহকদের উন্নত জাতের অবমুক্ত বা স্থানীয় উন্নত জাতের মানসম্মত প্রপাগিউল এর ব্যবহার বৃদ্ধি, উৎপাদন, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নত নার্সারী ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ প্রজনন কর্মকান্ড হতে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত নার্সারী শিল্পের সুষম উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার সার্বিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সারী গাইডলাইনস, ২০০৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।
‘‘নার্সারী গাইডলাইনস, ২০০৮” অনুসারে একজন উদ্যোক্তাকে নার্সারী স্থাপন করতে গেলে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করতে হয়ঃ
১) নার্সারীর নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও রেজিস্ট্রেশন সম্বলিত সাইনবোর্ড থাকতে হবে।
২) সাইনবোর্ড কমপক্ষে ৩দ্ধ২ মাপের হবে।
৩) নার্সারীর জন্য নিজস্ব, বন্দোবস্ত বা ভাড়া করা জমি থাকতে হবে।
৪) উঁচু, বন্যামুক্ত ও পর্যাপ্ত আলো বাতাসযুক্ত স্থানে নার্সারী স্থাপন করতে হবে।
৫) পানি সেচ ও পানি নিষ্কাষণের সু-ব্যবস্থা থাকতে হবে ।
৬) প্রয়োজন অনুযায়ী নার্সারীতে অন্যান্য সুবিধা যেমন নার্সারী সেড, মিস্ট প্রোপাগেশন হাউজ, নেট হাউজ, ল্যাথ হাউজ বা পলি হাউজ এর ব্যবস্থা থাকতে হবে ।
৭) নার্সারী সুরক্ষার জন্য বেড়া থাকতে হবে ।
৮) নার্সারীর ভিতর চলাচলের সুব্যবস্থা থাকতে হবে ।
৯) উদ্যান নার্সারীর বেলায়, প্রয়োজন হলে, ছায়া প্রদানকারী গাছ থাকতে হবে । তবে বনজ নার্সারীর বেলায় ছায়া প্রদানকারী গাছ অত্যাবশ্যক নয়।
১০) মার্তৃগাছের উৎস হতে বীজ, সায়ন, কুড়ি সংগ্রহ করতে হবে।
১১) বীজ থেকে চারা উৎপাদনের স্থায়ী বেড থাকতে হবে ।
নার্সারী নিবন্ধীকরণের পদ্ধতিঃ
নতুন নার্সারী স্থাপন ও ইতোমধ্যে স্থাপিত নার্সারী পরিচালনার জন্য নিবন্ধীকরণের প্রয়োজন। নিবন্ধীকরণের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপপরিচালক, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বরাবর আবেদন করতে হয়। নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করার পূর্বে “লাইনেন্স ফি” বাবদ ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা চালানের মাধ্যমে (খাতের কোড নম্বরঃ ১-৪৩৩১-০০০০-১৮৫৪) জমা দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ পক্ষে উপপরিচালক, ডিএই নির্ধারিত নির্ণায়কের মাধ্যমে আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই বাছাই পূর্বক নিবন্ধন প্রদান করেন। প্রতি পাঁচ বৎসর অন্তর নিবন্ধন নবায়ন করতে হয়। প্রতিবার নবায়নের জন্য নির্দিষ্ট ফরমে আবেদনসহ ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা চালানের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কর্তৃপক্ষের) বরাবর জমা দিতে হয় ।
বীজ, চারা, কলম বা প্রপাগিউল বাজারজাতকরণ/বিপণনে করণীয় বিষয়সমূহঃ
১) পোকা-মাকড় ও রোগমুক্ত, সবল, সতেজ প্রপাগিউল বাজারজাত করতে হবে। অনুপযোগী (ঈঁষষ ঝববফষরহম) চারা বিক্রি করা যাবে না।
২) সঠিক বয়সের চারা, কলম বা প্রপাগিউল বাজারজাত করতে হবে। অপরিপক্ক বীজ, অপরিণত বয়সের চারা, কলম বা প্রপাগিউল বাজারজাত করা যাবে না। বৃক্ষ ও গুল্ম জাতীয় ফুলের চারার বয়স ২ বছরের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে।
৩) বাজারজাতকালীন সময়ে ট্যাগ-লেবেল থাকতে হবে। ফুল, ফল, বনজ ও ভেষজ উদ্ভিদেও প্রপাগিউলের ক্ষেত্রে প্রতি চারায়/কলমে এবং অন্যান্য উদ্যান ফসলের বেলায় সুবিধাজনক অংশে ট্যাগ-লেবেল থাকতে হবে। ট্যাগ-লেবেলে নার্সারীর নাম, সংক্ষিপ্ত ঠিকানা, প্রপাগিউল সামগ্রীর নাম, জাত, বীজের উৎস ও বীজ লাগানো বা কলম বাঁধার তারিখ লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।
৪) বাজারজাতকরণের পূর্বে আগ্রহী নার্সারী মালিকগণ নিজ দায়িত্বে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি (এসসিএ) হতে চারা, কলম বা প্রপাগিউলের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। চারা, কলম বা প্রপাগিউল তৈরীর পর তা সঠিকভাবে নির্দেশনার জন্য নার্সারীর নাম, রেজিস্ট্রেশন, সংক্ষিপ্ত ঠিকানা, জাতের নাম, বীজ বপনের তারিখ ও বীজ/সায়ন -এর উৎস ও তারিখ সম্বলিত ট্যাগ দ্বারা লেবেল করতে হবে।
৫) সার্টিফাইড বীজ, কন্দ, টিউবার, ইত্যাদি প্রপাগিউলের ক্ষেত্রে নার্সারীতে অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা কমপক্ষে ৮০% হতে হবে।
৬) নার্সারীর মাটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সময়ে সময়ে পরিশোধন করতে হবে।
৭) সীড বেড থেকে উত্তোলনের সময় নার্সারীর চারা/কলম একবারের বেশী খাসী (মূল শিকড় কর্তন) করা যাবে না।
৮) একাধিক বার খাসী করা কলমের গাছ বিক্রয় করা যাবে না।
উদ্যান ফসল এবং বনজ, ভেষজ ও শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদের বীজ, চারা-কলম বা প্রপাগিউল আমদানি নির্দেশিকা ঃ
১) প্রপাগিউল আমদানির ক্ষেত্রে প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন আইন অনুসরণ করতে হবে।
২) প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন আইনে উল্লেখিত কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক মিডিয়ায় উৎপাদিত প্রপাগিউল ছাড়া বিদেশ থেকে কোন প্রপাগিউল আমদানি করা যাবে না। মাটিতে উৎপাদিত বা শিকড়ে মাটি রয়েছে এমন কোন চারা বা কলম আমদানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ নলডাঙ্গায় বারনই নদীর পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপরে বাড়ছে হালতি বিলের পানি
মাঠ ফসলের বেলায় যেমন ভাল বীজে ভাল ফসল উৎপাদন হয় তদ্রুপ বনজ, ফলজ, ভেষজ ও শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ ও উদ্যান ফসলের বেলায়ও ভাল ফসল উৎপাদনের পূর্বশর্ত হচ্ছে মানসম্মত চারা ও কলম রোপণ করা। এক্ষেত্রে নার্সারীর ভূমিকা সর্ব স্বীকৃত। উদ্যেক্তা/ব্যবসায়ীদের যেমন “নার্সারী গাইডলাইন ২০০৮” মেনে নার্সারী ব্যবসা পরিচালনা প্রয়োজন, অন্যদিকে গ্রাহকদেরও সচেতন হতে হবে। চারা কেনার পূর্বে অবশ্যই জেনে নিতে হবে নার্সারীর নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য এবং রশিদের মাধ্যমে চারা ক্রয় করা, যাতে প্রতারিত হলে প্রমাণক হিসেবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে তা উপস্থাপন করতে পারেন। সঠিক পরিকল্পনা, “নার্সারী গাইডলাইন ২০০৮” এর কার্যকর অনুসরণ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তড়িত ব্যবস্থা গ্রহণ, নাগরিকদের সচেতনতা, সরকারী-বেসরকারী-ব্যক্তি পর্যায়ে সুন্দর মিথস্ক্রিয়া সম্ভাবনাময় নার্সারী শিল্পকে নিয়ে যেতে পারে অনন্য উচ্চতায়। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২০ এর মহতি উদ্যোগে, আসুন সবাই কমপক্ষে ০৩ টি করে (০১ টি ফলদ, ০১ টি বনজ ও ০১ টি ওষুধী) গাছ লাগাই এবং সঠিক উৎস থেকে চারা কিনে নার্সারী শিল্পের বিকাশ ঘটাই।
লেখকঃ কৃষিবিদ কামরুল ইসলাম (৩৫ তম বিসিএস কৃষি)
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার
পুঠিয়া, রাজশাহী
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply