বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও থেকে মোঃ আসিফ জামানঃ— ঠাকুরগাঁওয়ে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুদিনে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই রোগে অসুস্থ্য হয়ে ওই পরিবারের আরও তিনজন ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সনগাঁও গ্রামের এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক। এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল ওই গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং আশপাশের লোকজনকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রদান করেছেন।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক পরিবারের বরাতে জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সনগাঁও গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী মিনা বেগম (৩৫) গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে মারা যান। পরের দিনই শনিবার রাতে বড়ভাই হাজিরুলের স্ত্রী পশিনা বেগম অসুস্থ্যবোধ করলে স্বজনরা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে রবিবার ভোরবেলা তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর ওই পরিবারের আরো তিনজন অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাদেরকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক বলছেন তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে পরে মিনা বেগম চিকিৎসা নেয়ার আগেই মারা যান। পরদিন আবার হঠাৎ অসুস্থ্য পশিনা বেগম। তার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য অবস্থায় বাড়ি ফেরার পরও তিনিও মারা যান।
‘হঠাৎ কি হলো, কেউ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই নিহত মিনা বেগমের মেয়ে তানজিনা আক্তার, নিহত পশিনা বেগমের শাশুরি হাজেরা খাতুন ও আলেয়া আক্তার অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাদেরকে রবিবার দুপুরে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।’।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান সরকার এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি দল ওই গ্রামে গিয়ে কারন জানতে পরিদর্শন করেছেন। কি কারনে তারা মারা গেল এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর যারা অসুস্থ্য হয়ে ভর্তি আছে তারা বর্তমানে ভাল আছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ যে, গত বছর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্থানীয় লোকজন এমন অজ্ঞাত রোগে মৃত্যুর কারণ ওই ভাইরাসে হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply