বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ পেঁয়াজের মূল্য স্থীতিশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় আজ চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে বিভিন্ন অপরাধে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে প্রাপ্ত মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও খাদ্যের অননুমোদিত রং ধ্বংস করা হয়।
আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, চট্টগ্রাম মহানগর ও এপিবিএন-৯ এর সহায়তায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুনঃ আন্দরকিল্লায় নকল সেলাই মেশিনের কারখানায় র্যাবের অভিযানঃ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে কোতয়ালী থানার খাতুনগঞ্জ এর হামিদুল্লাহ্ মার্কেটের পেঁয়াজের পাইকারি দোকানসমূহ পরিদর্শন করে পেঁয়াজের মজুদ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। আল আরফাত ট্রেডার্সকে প্রদর্শিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। ব্যবসায়ীবৃন্দকে যৌক্তিক মুনাফা করতে, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সঠিক রশিদ সংরক্ষণ ও প্রদান করতে এবং হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের আহ্বান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর
এছাড়া বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের প্রদর্শিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করায় খাজা আজমীর স্টোরকে ৩ হাজার টাকা, নিলয় এন্টারপ্রাইজকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা, বহদ্দারহাট সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের আনসারি ব্রাদার্সকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও খাদ্যের অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এনামুল হক সওদাগরের মাংসের দোকানকে মাংসে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রং সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে, চান্দগাঁও আবাসিকের সানোয়ার স্টোরকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও খাদ্যের অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত রং ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়। কি-ফুড ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও অননুমোদিত পণ্য রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। জাওয়াদ স্টোরকে উৎপাদন-মেয়াদবিহীন পণ্য সংরক্ষণ ও নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply