বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
ইবি (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে এম বি রিয়াদঃ— ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলার শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমির উপর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে বিস্তর ইতিহাস।
জানা যায়, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১লা ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি অধ্যাপক এম.এ বারীকে সভাপতি করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়। ২০ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে কমিটি প্রতিবেদন পেশ করে। ৩১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে ওআইসি এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্ব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রথমদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি ওআইসি সহযোগিতায় পেলেও পরে বিভিন্ন অভিযোগে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয় ওআইসি । পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সরকার। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে তিনটি বিভাগে আটজন শিক্ষক ও ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পার করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। দীর্ঘ এই ৪০ বছরের পথ চলায় গৌরব উজ্জল দীপ্ত মশাল নিয়ে ছুটে চলছে দেশ ও দেশের বাইরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি অনুষদ ভুক্ত ৩৪ বিভাগের অধীনে ৪০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা, ১৪ হাজার ৪৫৪ ছাত্র-ছাত্রী এবং ৮১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।শিক্ষার্থীদের অবাসনের জন্য আটটি হল, চিকিৎসা সেবার জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র, ব্যায়ামাগার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার রয়েছে। এছাড়াও আবাসিক ও পরিবহন সুবিধা প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। তবে চাহিদা অনুযায়ী এসব সেবা প্রদানে করা সম্ভব হচ্ছেনা কর্তৃপক্ষে। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিবহন ও আবাসিক সংকট সমাধান হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের মূল ফটকের তৈরী করা হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব স্মৃতি ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য মুক্ত বাংলা, শহীদ মিনারএবং স্মৃতি সৌধ এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. এ.এন.এম মতাজউদ্দিন চৌধুরী এবং বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ আসকারী।
উপাচার্য বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়টি ধীরে ধীরে শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষা ও গবেষাণায় আন্তর্জাতিক মাতৃকতা পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য মেগাপ্রকল্প গৃহীত হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৮০ শতাংশ আবাসন সংকট সমাধান হবে।’
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply