রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
বরগুনা (তালতলী) থেকে মোঃ মিজানুর রহমান নাদিমঃ— শীতের ভরা মৌসুমে বসন্তের শুরুতে গাছে গাছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ এবারে বরগুনার তালতলীতে বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমানে আমের মুকুলের সমারোহ ঘটছে। মুকুলের ভাড়ে গাছের ডাল-পালা নুড়ে পড়ছে। ছোট-বড় গাছ গুলোতে বেশী মুকুল আসতে শুরু করছে। আমের মুকুল যে পরিমানে আসছে অনেকে মনে করছে এবার আমের ফলন বেশী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলের ফসল খেসারী কলাই
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার জয়ালভাঙ্গা, নয়াপাড়া, পাজরাভাঙ্গা, মৌরভী, চরপাড়া হরিনবাড়ীয়া, বড়ভাইজোড়া, নিশানবাড়ীয়া, মোমেপাড়া, কড়াইবাড়ীয়া, ছোটবগী, সওদাগরপাড়াসহ অন্যন্য গ্রাম গুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেন অপরুপ রঙ ছড়াচ্ছে। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের আনন্দ বইছে। অনেকেই মুকুল রক্ষা করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছে। আবার কেউ গাছের যত্নে মনোযোগী হয়ে উঠছেন। আমের মুকুল আসছে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভ্রুমনের ঘ্রাণে ব্যঞ্জনা। শীতে ঘ্রানে শোভা ছড়াচ্ছে। স্বর্ণালি মুকুল।বছর ঘরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠছে আমপ্রেমীদের মন।
আরও পড়ুনঃ লামায় পাহাড়ের জমিতে সরিষা চাষ-নজর কাড়া দৃশ্যের ছবি তুলে ফেইসবুকে শেয়ার
কয়েকজন বাগান মালিকরা জানান, বর্তমানে আবওহায়া অনুকুলে রয়েছে। সপ্তাহে খানেক আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। মুকুল আসার পর থেকে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করছি এবং কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বালাইনাশক স্প্রে করছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, আম গাছে রোগ হলে টিএসপি ও এমপি সার দিতে হবে দুই-তিন বছর বয়সের গাছে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম, চার-পাঁচ বছর বয়সের গাছে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম, ছয়-সাত বছর বয়সের গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম, আট-নয় বছর বয়সের গাছে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম এবং ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৫০ থেকে এক হাজার ২০০ গ্রাম প্রতি গাছে এগুলো ব্যবহার করতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্পমঞ্জরিতে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে।তাই রিপকর্ড এবং কেবিএস জয় ব্যবহার করতে পারে।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এচিং জানান, এ সময় বাগানে হপার এবং ফুদকী পোকা গুলো গাছের বাকলে লুকিয়ে থাকে। এ ধরনের পোকা খুব বেশী দেখা দিলে সালফার নাশক স্প্রে করতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ আরিফুর রহমান মুঠোফোনে জানান, মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলনে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply