রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
জামালপুর থেকে মোঃ ইমরান মাহমুদঃ— শীতের ভরা মৌসুমে বসন্তের শুরুতে গাছে গাছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ এবারে জামালপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমানে আমের মুকুলের সমারোহ ঘটছে। মুকুলের ভাড়ে গাছের ডাল-পালা নুড়ে পড়ছে। ছোট-বড় গাছ গুলোতে বেশী মুকুল আসতে শুরু করছে। আমের মুকুল যে পরিমানে আসছে অনেকে মনে করছে এবার আমের ফলন বেশী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জামালপুর জেলার মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলাসহ প্রত্যেক গ্রামগুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরূপ রঙ ছড়াচ্ছে। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের আনন্দ বইছে। অনেকেই মুকুল রক্ষা করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ গাছের যতেœ মনোযোগী হয়ে উঠছেন। আমের মুকুল আসছে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাকা ভ্রুমনের ঘ্রাণে ব্যঞ্জনা। শীতে ঘ্রাণে শোভা ছড়াচ্ছে। স্বর্ণালি মুকুল। বছর ঘুরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠছে আমপ্রেমীদের মন।
মেলান্দহ উপজেলার হরিপাই গ্রামের বাগান মালিক মুছা মিয়া জানান, বর্তমানে আবওহায়া অনুকুলে রয়েছে। সপ্তাহে খানেক আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। মুকুল আসার পর থেকে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করছি এবং কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বালাইনাশক স্প্রে করছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, আম গাছে রোগ হলে টিএসপি ও এমপি সার দিতে হবে দুই-তিন বছর বয়সের গাছে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম, চার-পাঁচ বছর বয়সের গাছে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম, ছয়-সাত বছর বয়সের গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম, আট-নয় বছর বয়সের গাছে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম এবং ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৫০ থেকে এক হাজার ২০০ গ্রাম প্রতি গাছে এ গুলো ব্যবহার করতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্পমঞ্জরিতে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে। তাই রিপকর্ড এবং কেবিএস জয় ব্যবহার করতে পারে।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এচিং জানান, এ সময় বাগানে হপার এবং ফুদকী পোকা গুলো গাছের বাকলে লুকিয়ে থাকে। এ ধরনের পোকা খুব বেশী দেখা দিলে সালফার নাশক স্প্রে করতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ির উপপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলনে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply