বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি’ ও ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু গ্যালারি ও কর্নার উদ্বোধন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে টিপু মুনশি বলেন, ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে দেখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। তাকে ছাত্ররাজনীতি করাকালীন দেখার ভাগ্য হয়েছিল।তাঁর কথা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তব্যই এখন রাজনীতিবিদদের পাথেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় কাজ করে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। গ্যালারির প্রশংসা করে সচিব বলেন, এ গ্যালারি ব্যতিক্রম হয়েছে। এসময় এক্সিলেন্ট প্রেজেনটেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখার সুযোগ পাইনি। তাই মন্ত্রী মহোদয়ের মুখে স্মৃতিচারণ শুনতে চাই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয় করে রাখতে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অন্যতম প্রধান কার্যক্রম হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি ও বঙ্গবন্ধু কর্নার করা হয়েছে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, চা বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুর রহিম খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি ও বঙ্গবন্ধু কর্নার’ নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু বিশিষ্টতার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। গ্যালারির কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থাপনের মাধ্যমে জাতির পিতাকে একটি সূর্য হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। সূর্যের দ্যুতি যেমন চারপাশকে আলোকিত করে তেমনি ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম যেভাবে বাঙালি জাতিকে আলোকিত এবং উদ্ভাসিত করেছে তা তুলে ধরা হয়েছে গ্যালারিতে। গ্যালারিকে মূলত দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। গ্যালারির বাম অংশে ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর অবদান সন্নিবেশ করা হয়েছে।
গ্যালারির ডান অংশে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদান উপস্থাপন করা হয়েছে। গ্যালারি, গ্যালারির সিলিং এবং কর্নারে মোট ৪(চার) টি রং ব্যবহার করা হয়েছে। সিলিংয়ের সোনালী রং এবং গ্যালারির উজ্জ্বল হলুদ রং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’র প্রতিচ্ছবি। গ্যালারির সবুজ রং সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা ‘সবুজ বাংলা’র প্রতিচ্ছবি। ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি ও বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এ ব্যবহৃত সাদা রং ‘শান্তি’র প্রতীক এবং গ্যালারিতে ব্যবহৃত বাদামী রং এর মাধ্যমে দেশ মাতৃকার ‘মাটি’র প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চেয়ার ও টেবিলের ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাস্থ নন্দরানী চা বাগান পরিদর্শনে গিয়ে বর্ণিত চেয়ারটিতে বসেছিলেন। মূল চেয়ারটি বর্তমানে শ্রীমঙ্গল উপজেলাস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিচালনাধীন টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন দাপ্তরিক কাজে বর্ণিত টেবিলটি বঙ্গবন্ধু ব্যবহার করতেন। মূল টেবিলটি বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিচালনাধীন টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও অতিথিরা চা শিল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে সকাল ১২ টায় নগরের ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারে ই-বাণিজ্য করবো, নিজের ব্যবসা গড়বো শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদেন। এসময় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মো. মাহবুবুল আলমসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply