বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
শিবপুর (নরসিংদী) থেকে আনোয়ার হোসেন স্বপনঃ নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের দত্তের গাাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন মোল্লা ইউটিউবে দেখে চুই ঝালের চাষ করা দেখে তিনি ২০২১ সালে খুলনা গিয়ে একটি নার্সারী থেকে এক হাজার চুই ঝালের চারা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
চুই ঝালের চারা ক্রয় করার আগে আফজাল হোসেন মোল্লা তিনি বলেন, শিবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ বিন সাদেক, উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রাসারন কর্মকর্তা, মো: মোশারফ হোসেন ও উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি ফিল্ড অফিসার নাছরিন আক্তারসহ সকলের পরামর্শে বাড়ির পাশে পতিত ৫০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ১ হাজার চারা রোপন করে চাষাবাদ শুরু করেছি। আর প্রতি বছর জমির ভাড়া বাবত ৩৫ হাজার টাকায় লিজ নিয়েছি।
কৃষক আফজাল হোসেন মোল্লা বলেন, চুই ঝালের চারা জমিতে রোপন করতে গেলে প্রতিবেশীরা সব সময় উপহাস করতেন। তখন আমি তাদের এই সব কথায় কান না দিয়ে প্রতি দিনই শ্রমিক নিয়ে ক্ষেতে গিয়ে গাছের যতœ করতাম। প্রায় ১৫ মাস যাবৎ চাষবাষ করে আমার সর্বমোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫০হাজার টাকা।
চুই ঝালের গাছগুলো বিক্রীর উপযোগী হয়েছে। গাছগুলো লতা পাতায় ৪/৫ ফুট লন্বা হয়েছে। প্রতিটি গাছে মাটির নিচে শিকড় ও কান্ড মিলে গড়ে দেড় কেজি ওজন পরিমান মসলা হবে। প্রতি কেজির মূল্য ৫শত টাকা বিক্রী করতে পারলে সাড়ে ৭ লাক্ষ টাকা বিক্রী হবে। সকল খরচ বাদে আমার ৬ লাক্ষ টাকা আশা কার আয় হবে।
শিবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ বিন সাদেক বলেন, চুই ঝাল পান পাতার মতো লতা জাতীয় গাছ, মসলা জাতীয় ফসল, কান্ড, শিকড়, শাখা-প্রশাখা সবই মসলা হিসেবে মাছ, মাংস ও সব ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। চুই ঝাল রুচি বাড়ায়, গ্যাস্ট্রিক, ঠান্ডা, কাশি, সব ধরনের ব্যাথার জন্য অনেক উপকারি। তাছাড়া কৃষকের চারা বিক্রীর ব্যাপারে ৯টি ইউনিয়নে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ও নার্সারীর মালিকদের সহযোগীতা নিব।
শিবপুর উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রাসারন কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, এই কৃষককে আমরা চুই ঝাল রোপন করার পর থেকে নিয়মিত সব ধরনের সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখি প্রতিটি গাছে মাটির নিচে শিকড় ও কান্ড মিলে গড়ে দেড় কেজি ওজন পরিমান মসলা হবে। এই কৃষক চুই ঝাল বিক্রী করে প্রায় ৫/৬ লাক্ষ টাকা আয় করতে পরবে।
উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার নাছরিন আক্তার বলেন, আমার সিনিয়র অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক প্রতি নিয়ত খোজখবর রেখেছি। এই কৃষক এখন থেকে চারা সহ চুই ঝাল বিক্রী শুর করতে পারবে।
স্থানীয় কৃষক আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, আমি মাঝে মধ্যে দেখি কৃষি অফিসারা এই ক্ষেত দেখতে আসে। তাদের নিকট থেকে জেনেছি চুই ঝাল মসলা জাতীয় লাভ জনক ফসল। আমি তার নিকট থেকে চারা ক্রয় করে আমার পতিত জমিতে রোপন করবো।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply