শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ থেকে মোহাম্মাদ শাহ্ আলমঃ— হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে আরো ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছিম রেজা এ রায় ঘোষণা করেন। নিহত সাংবাদিক জুনাইদ নবীগঞ্জের সাতহাইল গ্রামের বাসিন্দা।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া, মিছির আলীর ছেলে রাহুল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফরিদ মিয়া। রায় ঘোষণার সময় বাদশা ও রাহুল আদালতে উপস্থিত ছিল। তবে ফরিদ মিয়া লন্ডনে পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১২ সালের ১০ জুলাই সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ বাড়ি থেকে বের হয়ে হবিগঞ্জে যান। ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহের আলামত নষ্ট করার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ রেল লাইনে ফেলে রাখে। পরদিন ১১ জুলাই সকালে সাংবাদিক জুনাইদ আহমদের মরদেহ টুকরো অবস্থায় উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
এ ঘটনায় জুনাইদের ভাই মোজাহিদ আহমদ হবিগঞ্জের আদালতে ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে একই গ্রামের ফরিদ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি এফআইআর গণ্যে রুজু করার জন্য জিআরপি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
মামলার খবর পেয়েই প্রধান আসামি ফরিদ লন্ডনে পালিয়ে যায়। অপর আসামিরাও আত্মগোপন করে।
হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ আল আমিন হোসেন জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। দুই আসামিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে বিকেলে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে, মামলার অপর আসামি আব্দুল হামিদকে ওই বছরই স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রায় এক বছর জেলে থাকার পর তার অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে গণপিটুনি দিয়ে আব্দুল হামিদকে মেরে ফেলে।
অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক বলেন, সাংবাদিক জুনাইদ হত্যা মামলায় রায়ে আমরাসহ তার পরিবার সন্তুষ্ট। তবে এ সাজা যেন বহাল থাকে তার জন্য দাবী জানিয়েছে জুনাইদের পরিবার।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply