বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জ থেকে এসএম আশরাফুল ইসলাম জয়ঃ— সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বাতিল, সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডের দাবিতে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় হৈমবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিরাজগঞ্জের সকল উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পান। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পান ১৪তম গ্রেডে। চলমান বেতন গ্রেড বৃদ্ধির দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা। বর্তমানে দ্বিতীয় শ্রেণীর গ্রেড নিয়ে ১১তম গ্রেড বেতন পাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা।
কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্য সব চাকরিজীবীরা বেতন পান দশম গ্রেডে। প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে থেমে থেমে এই আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকরা। চলতি বছরের ২৫ ফেরুয়ারি হাইকোর্ট এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে আদেশ দেন।
এর আগে সরকার প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ঠিক রেখে সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে আনার পরিকল্পনা করেছিলো বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেরই ধারণা। পরে হাইকোটের নির্দেশে প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেড পাওয়ায় সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড দাবি করে আসছে।
এদিকে, চলমান বৈষম্য নিরসন করে ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়ার দাবিতে আজ শুক্রবার মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছেন সিরাজগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা।
এসময় বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুর ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড। তাই আমরা সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম প্রদান, সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বাতিল করণ এবং প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করণের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ জাতীয়করণের জন্য জোর দাবী জানান।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করার পরও ১১তম গ্রেডের বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষকরা। তিনি বলেন, আমরা যখন ঢাকাতে আন্দোলন করি, তখন আমাদের ১১তম গ্রেডের আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সরকার আমাদের কথা না রেখে দশম এবং ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করতে চায়। এছাড়াও শিক্ষকদের বিরোধিতা সত্ত্বেও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। এই বৈষম্য কোনোভাবেই শিক্ষকরা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আবারও আন্দোলন করা হবে। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির আহবায়ক জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আলামিন হোসেন, কাজিপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুকিত তালুকদার, কামারখন্দ উপজেলা আহবায়ক মোঃ খুরশিদ আলম মানিক, সিরাজগঞ্জ জেলার সহকারী শিক্ষক সমিতির সিনিয়ার সহ-সভাপতি ফারজানা হক, সহ-সভাপতি নাজনীন নাহার হিমি, আতিয়া মির্জা যুগ্ম সম্পাদক, মোঃ আলহাজ উদ্দিন মোঃ শফিকুল ইসলাম অপু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply