বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
আজকের দিগন্ত প্রতিবেদকঃ— “বাংলাদেশের একটি মানুষও গরিব থাকবে না। একটি মানুষও ঘর ছাড়া থকবেন না” ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামীলীগকে সংগঠিত এবং শক্তিশালী করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ সময় তিনি মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। যে মানুষগুলো খেতে পারতো না, পড়তে পারতো না, পরনের ছিন্ন কাপড় তাদেরকে একটু ভালো রাখতেই তিনি (বঙ্গবন্ধু) সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগের ওপর বার বার আঘাত এসেছে। কিন্তু তিনি কখনও দমে যাননি। সকল ঘাত প্রতিঘাত পার হয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ডাকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এ দেশের মানুষ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান এবং অন্ন ও বস্ত্র পাবে এটাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৭ সালে মাওলানা ভাসানী যখন পার্টি ভেঙে অন্য দল করলেন তখন বঙ্গবন্ধু আবার নতুন করে শুরু করলেন আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে। তিনি দিনের পর দিন সারাদেশে মানুষের সঙ্গে কাজ করে এ দলকে আবার শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ, একটা রিজার্ভ মানি ছিল না। গোলায় কোনো ধান ছিল না। একটি ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ পরিচালনা করেছিলেন। প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটি সংবিধান তিনি আমাদেরকে উপহার দিয়ে গেছেন। এত অল্প সময়ে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা সহজ কথা নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের ওপর অত্যাচার নির্যাতন কম হয়নি। নির্যাতনের ফলে একসময় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বঙ্গবন্ধুর কথা মতো কাজ করতে গিয়ে এ দেশের কত লোক যে আত্মহুতি দিয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এতো ত্যাগ-তিতিক্ষা অন্য কোনো দলের সদস্যদের নেই। সত্তর বছরে দেশের মানুষকে কিছু দিলে এ আওয়ামী লীগ’ই দিতে পেরেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন এ দেশকে গড়ে তুলতে ছিলেন তখনও পাকিস্তানি সমর্থকদের অত্যাচার নির্যাতন কম হয়নি। ষড়যন্ত্রের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আবার অত্যাচার নির্যাতনের খড়গ শুরু হয়ে যায়। ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগ দারিদ্র ২১ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আগামীতে এ দেশের মানুষকে দরিদ্র মুক্ত করা হবে। উন্নত দেশে যে দারিদ্র সীমা থাকে তার চেয়ে কমে নামিয়ে আনা হবে। বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply