শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে সাইফুল আলম সুমনঃ— গাজীপুরের শ্রীপুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুকুর থেকে এক নারী শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজাবাড়ী বাজার এলাকার অগ্রণী ব্যাংকের পেছনের একটি পুকুর থেকে পাকা খুঁটির সাথে হাত-পা বাঁধা ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত নারী শ্রমিক সাবিনা আক্তার (২২) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার জোঁকা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় শারমিন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত।

নিহতের খালাম্মা ছোলেমা বেগম জানান, গত বছর তিনেক আগে গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে নাহিদের সাথে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। সাবিনা বছর তিনেক আগে গাজীপুর মহানগরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। সেখান থেকে নাহিদ এর সাথে পরিচয় ও পরে বিয়ে হয়। এরপর থেকে নাহিদের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। পরে সাবিনা শ্রীপুর উপজেলার ধলাদিয়া গ্রামের শারমিন টেক্সটাইল লিমিটেডে শ্রমিকের চাকরি নেয় ও সূর্য নারায়নপুর গ্রামের কামাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। বিবাহিত জীবনে তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি আরও জানান, সাবিনা আক্তার একাধিক ছেলের সাথে প্রায়ই মুঠোফোনে কথা বলতো। মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে ওই ছেলেদের একজন মোটরসাইকেলযোগে সাবিনা আক্তারকে তার ভাড়া বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। আজ বৃহস্পতিবার একটি পুকুরে তার মরদেহের খোঁজ পাওয়া যায়। নিখোঁজের ঘটনায় তারা কোন সাধারণ ডায়েরি করেনি।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় লোকজন বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই পুকুরে নারীর ভাসমান মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। রড সিমেন্টের পাকা খুঁটির সাথে নারীর হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছিল।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) আকতার হোসেন জানান, যেহেতু পাকা খুঁটির সাথে নিহতের মরদেহ বাঁধা ছিল তাই ধারনা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে ঘাতক পুকুরে খুঁটির সাথে মরদেহ বেঁধে রাখে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।