বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
পাবনা থেকে তুহিন হোসেনঃ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম মিহির কান্তি গুহের নির্দেশে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোরবানির জন্য গবাদিপশু পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশন থেকে দু’টি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্রগ্রাম অভিমুখে পরিবহণের সহজ ব্যবস্থা করেছে। স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে, গরু ব্যবসায়ী ও কোরবাণীর পশু ক্রেতাদের সুবিধা বৃদ্ধি ও সুস্থ্যভাবে গন্তব্য স্থানে পশু পরিবহণ করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শীঘ্রই ট্রেন দু’টি চালু করা হবে। ইতিমধ্যেই ক্যাটল স্পেশাল এই দু’টি ট্রেনের ওয়াগনগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ট্রেনে মোট দু’টি রেক গঠন করা হয়েছে যাতে কোন বিলম্ব ব্যতিরেকে ট্রেন দু’টি চলাচল করতে পারে। পাকশী বিভাগের মোবারকগঞ্জ, চুয়াাডাঙ্গা, পোড়াদহ কুষ্টিয়া ও উল্লাহ পাড়া স্টেশনে এই ট্রেনগুলোর স্টপেজ দেয়া হবে। এই ট্রেনে পশু পরিবহনের জন্য যে কাভার্ড ওয়াগনগুলো ব্যবহার করা হবে সেগুলোতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং রোদ কিংবা বৃষ্টি ভেতরে প্রবেশ রোধের ও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে প্রচন্ড রোদে বা বৃষ্টিতে গবাদি পশুগুলোর অসুস্থ হয়ে পড়ার কোন সুযোগ থাকবেনা। গরম থেকে পশুগুলোকে রক্ষার লক্ষ্যে পশু ভর্তি ট্রেন দু’টি রাতে চলাচল করবে যাতে দিনের তীব্র গরমে পশুগুলো অসুস্থ হয়ে না পড়ে। আবার পথিমধ্যে কোন গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল এর মাধ্যমে যেন চিকিৎসা প্রদান করা যায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। গবাদি পশুর সাথে পরিচর্যাকারীগণ একই ওয়াগণ এ ভ্রমণ করতে পারে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এবার ঈদকে সামনে রেখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রথম পশু পরিবহণ ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করলে ও প্রতি বছর কোরবানির ঈদ মৌসুমে যশোর থেকে একই নিয়মে পশুপরিবহণ অব্যাহত থাকবে। এই ট্রেনে পশুপরিবহণের কারণে ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। একই ভাবে সড়ক পথের যানযট ও বিভিন্ন প্রকার চাঁদাবাজির শিকার হতে হবে না। বর্তমানে ট্রাকে গরু পরিবহন করে ঢাকা যেতে ৪০ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। পথিমধ্যে যানযটের শিকার হয়ে সময় ব্যয় হয়। অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। আবার পথে পথে নানা প্রকার চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। এতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ক্ষতির শিকার হন। কিন্তু এই ক্যাটল ট্রেনে সময় লাগবে মাত্র ১২ ঘণ্টা। বর্তমান সময়ে সীমিত আকারে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনগুলো ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। পথিমধ্যে কোন যানজটের ভয় থাকবে না। ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজির শিকার হতে হবেনা। রেলওয়ে ও ব্যবসায়ীদের এসব স্বার্থরক্ষায় পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আসাদুল হক ও পরিবহণ কর্মকর্তা নাসির আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছেন।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম মিহির কান্তির গুহর নির্দেশে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ডিআরএম আসাদুল হকের দপ্তর থেকে গঠিত চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ট্রেন দু’টি সুষ্ঠভাবে চালানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। কমিটিতে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানকে আহবায়ক করা হয়েছে। অন্য তিন সদস্যদের মধ্যে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের সরকারি বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, পাকশী রেলওয়ে বিভাগ দক্ষিণের সহকারি যন্ত্র প্রকৌশলী অপারেশন ওরেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারি কমান্ডেন্ট রয়েছেন। এদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোরবাণীর পশু পরিবহণের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে আব্দূল কাদের ও সালাম রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ও পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply