মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ সাগরিকা মোড় হতে নয়া বাজার পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা, ফুটপাতের উপর বসানো দোকানপাট ও স্তুপকৃত মালামাল দ্রুত সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
আজ মঙ্গলবার ( ১১ আগস্ট) সকালে সাগরিকা মোড় থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত বন্দর সংযোগ সড়ক উন্নয়ন কাজ সরজমিন পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুনঃ বন্যায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ
এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি বলেন, চসিক প্রশাসক হওয়ার পুর্ব থেকে এই রাস্তার হালচিত্র তাকে ব্যথিত করতো। তাই দায়িত্ব নেয়ার পর বন্দর সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার প্রতিজ্ঞা করেন তিনি। পুরো নগরীর মধ্যে এই সড়কটি অতিগুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কী অদৃশ্য কারণে এতদিন যাবত এ কাজ সম্পন্ন হলো না তা তিনি অবগত নন। উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে রাত-দিন রাস্তায় থাকার আশ্বাস দেন প্রশাসক। উন্নয়ন কাজের সম্পন্নে সকল অন্তরায় দুর করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন যেখানে বাঁধা-সেখানেই লড়াইয়ের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ছাত্র রাজনীতি করে এই পর্যায়ে এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন রাস্তায়-ই তার রাজনীতি তাই নগরের উন্নয়নের স্বার্থে রাস্তাতেই থাকবেন এবং সমাধান আনবেন।
এসময় তিনি রাস্তার দুইপাশে অবস্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যারা অবৈধভাবে চসিকের ড্রেইন দখল করে জনচলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তাদের সতর্ক করে বলেন, প্রত্যেককে নিজ দায়িত্বে এসব অপসারণ করতে হবে নতুবা আগামীকাল থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে । এসব অবৈধ স্থাপনা না সরালে আগামী ২৪ ঘন্টা পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা গুনতে হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এসময় ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে ফুটপাতের মালামাল সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রশাসককে। চসিক প্রশাসক পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পরিদর্শণকালে স্থানীয় জনসাধারণ ও পথচারিদের সাথে তাদের সমসাময়িক দূর্ভোগ ও সমস্যার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন। বন্দর সংযোগ সড়কের কোথায় কী পদক্ষেপ নিলে বা কী ধরনের কাজ করলে ভালো হয় সে বিষয়েও অনেকের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করে বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে যে সময় নষ্ট হয়েছে তা আর সহ্য করা হবে না। এখন শুধু কাজ আর কাজ। এই দূর্ভোগ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
প্রশাসক ও ঠিকাদার মিলে এলাকাবাসীকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন সড়ক উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ঠিকাদার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারি ও মৌসুমী বৃষ্টির কারণে সড়কের উান্নয়নকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এলাকাবাসীসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের দূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন নতুন প্রশাসক যেভাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবে কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply