বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সঠিক পথে আছে মরহুম খলিলুর রহমান চৌধুরীর মতো তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের ফলশ্রুতিতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনায়। তিনি বলেন, মরহুম খলিলুর রহমান চৌধুরী রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে অনুকরণীয় একটি নাম। তৃণমূলের শ্রমিক নেতা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে উঠা এই ব্যক্তিকে কখনও কোনো লোভ-লালসা স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করলেও তার বাড়ি এখনো পূর্বের অবস্থায় রয়ে গেছে। দুঃসময়ে এই বাড়িতেই আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ হতো।
ড. হাছান মাহমুদ গত সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সদ্য প্রয়াত খলিলুর রহমান চৌধুরীর শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বিষয় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুনঃ নগরীর সড়কের খানা-খন্দক জরুরি ভিত্তিতে ভরাট ও মেরামতের নির্দেশ সিটি প্রশাসকের
এসময় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউএনও মোঃ মাসুদুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহাম্মদ চৌধুরী, সুজন কুমার তালুকদার, মোঃ শাহজাহান সিকদার, আবুল কাশেম চিশতি, ইদ্রিছ আজগর, আবদুল মোনাফ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আসলাম খাঁন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সি প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে রাঙ্গুনিয়ার কোথাও আওয়ামী লীগকে সভা করতে দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত সভা করতে হয়েছিল খলিলুর রহমান চৌধুরীর বাড়ির উঠুনে। সেই বাড়ির উঠুনের সভায়ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রচন্ড প্রতিকুল পরিস্থিতিতে আমাদের রাজনীতি করতে হয়েছে। যখনই সভা সমাবেশ মিছিল করা হতো তখনই বাঁধা দেয়া হতো। তবে সেই বাঁধার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কখনো পিছিয়ে যায় নি। তারা লড়াই করেছে।
জনাব হাছান মাহমুদ বলেন, খলিলুর রহমান চৌধুরী এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি দলের গন্ডি পেরিয়ে রাঙ্গুনিয়ার আপামর জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি যখন ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তখন অন্য কোন দলের কেউ তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী হননি। সব দল এবং মতের মানুষের তার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা ছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের তৃণমূলের ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান চৌধুরীর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ১৫ বছরের বেশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পাশাপাশি পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মতো গুরু দায়িত্ব পালনের পরও তার বাড়িতে কোন পাকা ঘর নির্মাণ হয়নি। অথচ গত ১১ বছরে সারা বাংলাদেশে বহু ইমারত নির্মিত হয়েছে। তিনি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি।
মন্ত্রী বলেন, তিনি দু’দফায় মন্ত্রী পরিষদের দায়িত্বে আছেন, তার কাছে কখনো তিনি কোন ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য তদবির করেননি। এরকম নেতা পাওয়া দূর্লভ। এরকম একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে আওয়ামী লীগ হারিয়েছে। মন্ত্রী নিজে ব্যক্তিগতভাবে হারিয়েছেন একজন মুরুব্বিকে ।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ার তিন শতাধিক দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ঐচ্ছিক তহবিলের ১০ লাখ টাকার নগদ টাকা বিতরণ করেন। শেষে উপজেলা ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন তথ্যমন্ত্রী।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply