বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পূর্বপ্রস্তুতিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ৯ (নয়) দফা নির্দেশনা সম্বলিত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে স্কুলগুলোকে নয় দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন স্বাক্ষরে নির্দেশনাসম্বলিত পরিপত্র জারি করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর পুনরায় বিদ্যালয় চালুর জন্য নির্দেশিকা প্রস্তুত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশিকা মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার আগে যেসব পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া দরকার তা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা এবং বিদ্যালয় আঙ্গিনা ও আসবাবপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ক্ষেত্রেও নির্দেশ দেয়া হয় ওই নির্দেশিকায়।
পরিপত্রে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। এর ফলে শ্রেণি কার্যক্রমে ব্যাঘাতসহ শিশুর শিখন যোগ্যতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা যত বেশি সময় বিদ্যালয়ের বাইরে থাকবে, তাদের বিদ্যালয়ে ফেরার সম্ভাবনা ততই কমে যাবে। তাই জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথা-শিগগিরই বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা অতীব জরুরি। বিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু করার পূর্বে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক।
চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন গাইডলাইনের আলোকে স্ব স্ব বিদ্যালয় নিজস্ব পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ওই গাইডলাইনের আলোকে বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার পূর্বে পূর্বপ্রস্তুতিমূলক বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ে স্লিপ বরাদ্দ ফান্ড দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয় তা হলো- ক্লাসরুমসহ বিদ্যালয়ের পুরো আঙ্গিনা সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করা। বিদ্যালয়ের সমস্ত আসবাবপত্র সার্বক্ষণিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করা। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ইনফ্রারেড থার্মোমিটার স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে সংগ্রহে রাখা। সাবান, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি ক্রয় করা। ওয়াশব্লক ও টয়লেট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। মগ, জগ, বালতিসহ প্রাসঙ্গিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র ক্রয় করা। অস্থায়ীভাবে হাত ধোয়ার স্থান নির্ধারণ করে হাত ধোয়ার পানি ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য শ্রমিকের যৌক্তিক সেবা ক্রয় করা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। কোভিড-১৯ মেয়াদকালে ইন্টারনেট ডাটা ক্রয় করা (এ খাতে বরাদ্দ না থাকলে)। পরিপত্রে বলা হয়, বিদ্যালয়ে বরাদ্দ স্লিপ ফান্ড থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে সামগ্রী/সেবা ক্রয়/সংগ্রহ করা যাবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকার আলোকে স্ব বিদ্যালয়গুলো স্থানীয়ভাবে প্ল্যান গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে। উপযুক্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply