শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়ে জীবন ও জীবিকার চাকাকে গতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি শীত মৌসুমে দ্বিতীয় ধাক্কার আভাষ দিয়ে তা মোকাবেলায় যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, এখন থেকেই তার বাস্তবায়ন শুরু করতে পারলে একাত্তরের মতই এ যুদ্ধেও বিজয়ী হওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আজ সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতায় সৃষ্টি, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অস্ত্র দিয়ে নয়, জনসচেতনতা ও আত্মরক্ষার কৌশলগুলো রপ্ত করে তা প্রাত্যহিক জীবন-যাপনে প্রয়োগ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, লোক সমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে একে অপরকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে এ যুদ্ধ জয় করা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরুতে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে উন্নত দেশগুলোরও কোন আগাম ধারণা ও প্রস্তুতি ছিলো না। তাই ঐ দেশগুলোতে করোনার ছোবলে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছিলো। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত হলেও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছুটা ধাক্কা লাগলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সামাল দিতে শূন্য থেকে একাত্তরের রণাঙ্গনের মতই জরুরী প্রতিরোধ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। একাত্তরের মতই যার যা কিছু আছে তা নিয়ে মনোবলকে সম্বল করে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী শ্রেণির নেতা-কর্মীরা সম্মুখ যুদ্ধের প্রতিরোধ তৈরি করায় বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ অনেক সম্মুখ যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন।
প্রশাসক বলেন, এতগুলো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ রক্ষা পেলেও শংকা এখনও কাটেনি। এ যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক শেখ হাসিনা এখনও রণাঙ্গনেই আছেন। তিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রথম পর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রস্তুতি সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বনই যেকোন বিপর্যয় মোকাবেলার পূর্বশর্ত। এর অংশ হিসেবে প্রত্যেকে মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাত ধোয়া, বাসস্থান রাস্তাঘাট জনচলাচলের পথ পরিস্কার রাখার কোন বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রশাসক রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী, দোকানদার, কর্মচারীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে লোক চলাচলের পথ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান। তিনি দোকানের সামনে যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে চসিক কর্তৃক সরবরাহকৃত ব্যাগে তা জমা করে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে বলেন এবং সেখান থেকে ঐসব আবর্জনা চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সরিয়ে নেবে বলে উল্লেখ করেন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, লায়ন ডা. আর.কে. রুবেল, প্রফেসর ড. জিনো বোধি ভিক্ষু, সজল চৌধুরী, মনির আহমদ, মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, এস এম জাভেদ হোসেন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ চসিক প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply