মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ ‘প্রকৃতি ও পরিবেশ পরিবেশ ধ্বংসকারীদে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্ববান ’আজ বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্রগ্রাম কেন্দ্র আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
আজ শনিবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী চালু করেছেন। মুজিববর্ষের অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ গড়ি এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৩ সাল থেকে কৃষকলীগ এর মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী চালু করেছেন। প্রত্যেকে একটি করে বনজ, ভেষজ, ঔষদি, গাছ লাগান এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান।
ড. হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতির দেশ । আজ থেকে ৩০ বছর পূর্বে লোকালয়ে এত গাছ ছিলনা। বর্তমানে লোকালয়ে গাছের ঘাটতি নেই। রাস্তার ধারে সামাজিক বনায়ন চলছে জনগণকে সাথে নিয়ে। এটির প্রবর্তন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। গত ১২ বছরে বনভূমির পরিমাণ না কমে বরং বেড়ে গিয়েছে। পূর্বে বনভূমি কমে ৮% হয়েছিল, বর্তমানে সেটি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন মানুষ প্রকৃতির দাস। এই পরিবেশ বিনষ্ট হলে মানুষের বেচে থাকা দায়।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রানী বিলুপ্ত হয়ে যায় শুধু মাত্র পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে। পৃথীবীতে এখন বিলিয়ন প্রানী আছে। আজকের পৃথিবীতে মানুষ প্রকৃতিকে নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহার করছে। বর্তমানে আমরা স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন নিতে পারছিনা। আমাদের শ্বাসতন্ত্র ঢেকে রাখতে হচ্ছে। আজকে মানুষ অনেক উন্নতি করছে। মনুষ্যবিহীন যান চাঁদে পাঠাচ্ছে। নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানি বলেছে দুই দশক পরে তারা মানুষকে চাঁদে পাঠাবে। গাড়ী আজ জিপিএস সিস্টেমে চলে। আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ সব কিছুকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। এসবের কারনে আমরা বারেবারে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছি। আজ পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল রিস্টোর অফ ইকোসিস্টেম। আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে কর্ণফুলী নদীর যে ইকোসিস্টেম ছিল, তা আজ নেই। বুড়িগঙ্গা নদীর ইকোসিস্টেম অনেক আগেই নস্ট হয়ে গিয়েছে। ঢাকা শহরে দুই কোটি লোকের বাস। ঢাকা শহরের লোক যদি ভেবে নেয় আমি যেখানে সেখানে ময়লা ফেলব , আর সিটি কর্পোরেশনের সাত হাজার লোক তা পরিস্কার করে নিবে, এটা ভেবে নেওয়া ভুল হবে।
তিনি সবাইকে বিনীতভাবে একটি নিবেদন জানান যে, আমরা যেন প্রত্যেকেই তিনটি করে গাছ লাগাই। মানুষের কাছে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে বেষ্ট প্র্যাকটিসগুলো শেখানো, জানানো। তিনি সকলকে পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে আহ্ববান জানান। যারা প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্রগ্রাম কেন্দ্রের অভ্যন্তরে মন্ত্রী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী উদ্ধোধন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্রগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্রাচার্য। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার, বন সংরক্ষক, চট্রগ্রাম বন অঞ্চল, মো. শফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ, অনুপ খাস্তগীর, বার্তাবিভাগ, বিটিভিসহ চট্রগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply