বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অফিস কিংবা দৈনন্দিন কাজ করতে করতে মাঝে মাঝেই আমাদের মনে চায়, দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে পারলে মন্দ হতো না! তাই কর্ম ব্যস্ততার অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে ভ্রমণের বিকল্প নেই। একটি আনন্দময় ভ্রমণ শুধু যে মনকে চাঙা করে তুলে তা নয়, শরীরের ওপরও রয়েছে এর প্রভাব। আর আপনি যদি ভ্রমণকে সার্থক করে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ সঠিক পরিকল্পনাই আপনার ভ্রমণকে সার্থক করে তুলবে।
তাই ‘ঘুরে ছন্দে, মনের আনন্দে’ জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৯ তারিখে (১১ জুন ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ) রোজ শুক্রবার রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমাদের সহপাঠী ৮৯-ব্যাচের (ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ) মোঃ মাজেদুল ইসলাম, মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফ আলী, মোঃ ইব্রাহীম, মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সঠিক পরিকল্পনাই আমরা একটা দিন সব ব্যস্ততা উপেক্ষা করে ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানাধীন ২০১ গম্বুজ মসজিদ ও মহেড়া জমিদার বাড়ী দেখার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
আমরা সবাই একে একে সকাল প্রায় ৯ ঘটিকায় মোঃ আরিফ হোসেনের কর্মস্থল ধামরাই উপজেলার ডুলিভিটা এলাকায় মিলিত হলাম এবং আমাদের স্বাগত জানালেন আমাদের সহপাঠী ডলি চৌধুরী।আমরা প্রায় সকলেই ভ্রমণে যাওয়ার আনন্দ আর উল্লাসে বাসা থেকে সকালের নাস্তা না খেয়েই বের হওয়ায় আমরা ক্ষুধায় কাতর ছিলাম। তাই আর দেরি না করে আমরা গাড়িতে উঠে যাত্রা শুরু করলাম এবং সকালের নাস্তা ডিম-পরোটা আর ভাজি বণ্টন করা হলো। সকালে নাস্তা শেষে আমরা আবার গাড়িতে উঠে পড়লাম।
আমাদের গাড়ি টাঙ্গাইল মহাসড়কে জ্যামের কারণে যথা সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে কিছুটা বিলম্বিত হলেও আমাদের সহপাঠিতে আনন্দের ঘাটতি ছিলো না।চলন্ত গাড়ির হাওয়ায় আমাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুললো। দীর্ঘ যাত্রার পর আমরা নির্দিষ্ট্ গন্তব্যে পৌছালাম এবং ক্লান্ত ও ক্ষুধার জ্বালায় আমরা আর দেরি না করে দুপুরের খাবার খেতে বসে গেলাম।নাজিরশাল চালের ঝরঝরে গরম ভাতের সঙ্গে গরুর মাংস, মুরগির ভুনা, রুই মাছের ভাজা, ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে করল্লা ভাজি ও মজাদার দই ছিল । এরকম খাবার দেখে কার না জিভে জল আসে!
খাওয়া শেষে আমরা সব সহপাঠিরা একসাথে ২০১ গম্বুজ মসজিদ দেখতে বের হলাম এবং মসজিদের ভিতর ও বাহিরে দেখতে লাগলাম এবং মসজিদকে গিরে আমরা এক অপরের ছবি তুলতে লাগলাম। আমাদের মাঝে এই ভ্রমণের অন্যতম পরিকল্পনাকারী মোঃ মাজেদুল ইসলাম বন্ধু মন খারাপ করে ডেকে ডেকে বলছিলেন, ‘কেউ কি আছো, আমার একটা ছবি তুলে দিবে? আছো কোনো হৃদয়বান ফটোগ্রাফার!’ তার ডাকে সাড়া দিলো আমাদের এক সহপাঠি বন্ধু আবুল কাশেম তিনি একজন সংবাদকর্মী। সে বেশ কিছুটা ছবি তুলে দিলো। ফেরার পথে কালিয়াকৈর এ আমাদের আরেক সহপাঠি মোঃ আমজাদ হোসেনের বাসায় কিছুটা যাত্রা বিরতি করি এবং সে খুবই খুশি হয়, তার সাথে প্রায় দীর্ঘ ৩২ বছর পর আমাদের সাথে দেখা এবং এই ভ্রমণে যোগদান করে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply