বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মোঃ ইউসুফ খানঃ— সাপ পরিবেশের বন্ধু, মানুষেরও বন্ধু। সাপ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কীট-পতঙ্গ, ইদুর, ব্যাঙ এদের প্রধান খাদ্য ঝোপ-জঙ্গল, বন কেটে পরিষ্কার করার কারনে সাপ হারাচ্ছে তার আবাসস্থল।আবাসস্থল হারিয়ে লোকালয়ে এসে মারা পড়ে। কিন্তু শহরের মসজিদপাড়ার দুই ভাই মামুন ও মিঠু বিষধর কালাচ সাপ হত্যা না করে রক্ষা করেছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে একটি সাপ দেখতে পেয়ে ওই দু’ভাই দুংসাহসিক অভিযান চালিয়ে বিষধর কালাচ সাপ আটক করতে সক্ষম হয়।
সাপটিকে একটি প্লাষ্টিক জারে রাখে। শনিবার সকালে সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ’র একটি টিম সাপটিকে সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ’র টিমকে দেয়ার কথা বলা হয়। কোন আপত্তি না করে মিঠু সাপটি দিতে আগ্রহী হয়।
বিষয়টি রাজশাহীর স্নেক রেসকিউ এ্যান্ড কনজারভেসন সেন্টারকে জানানো হয়।বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই সেন্টারের শেখ ফরিদ ও ইথার হোসেন আসেন। পরে সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ’র কর্মীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাপটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়।
Elapidae পরিবারের কালাচ সাপ, এর ইংরেজী নাম Common Krait, বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus caeruleus. কালাচ সাপ, যদিও দিনের বেলা এরা সাধারণত আক্রমণ না করলেও রাতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। দৈর্ঘ্যে এরা ১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর বিষক্রিয়া শুরু হয় ২ থেকে ২০ ঘণ্টা পরে। এর কামড়ের দাগও অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কামড়ে রাতে পেটে যন্ত্রণা, গলায় ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, খিচুনি এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। এই সাপটি ভারতীয় উপমহাদেশে দেখা যায়। চাঁপাইনবাগঞ্জেও দেখা যায়। তবে খুব কম মানুষ এদের চিনে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply