বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার, এইচ এম বিল্লাল হোসেন রাজুঃ— আলোচিত পায়ুপথে বাতাস দিয়ে হত্যা হওয়া বগুড়া কাহালুর শিশু শ্রমিক আলাল হোসেন ফকিরের অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি বগুড়া জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ বগুড়ার কাহালুতে সেই অসহায় পরিবারের সাথে স্বাক্ষাৎ করে হত্যাকান্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করেন এবং পরিবারের সার্বিক খোজ খবর সহ আইনী বিষয়ে যাবতীয় সহযোগিতা করার কথা আলোচনা করেন।
এসময় সময় উপস্থিত ছিলেন, সমিতির বগুড়া জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ক্রীড়াবীদ আলহাজ্ব জাহিদ ইকবাল জিতু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান হোসেন ডলার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরমান, ইলিয়াস হোসেন, ত্রাণ ও পূর্ণ বাসন সম্পাদক পঙ্কজ মুখার্জি, কাহালু উপজেলার প্রতিনিধি সুমন, এলাকার সাবেক মেম্বার সহ এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবগ।
সেই সময় এলাকাবাসী আলাল হত্যা ঘটনা যাতে ধামাচাপা না দিতে পারে সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে আহ্বান জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংগঠনের নেতৃন্দের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এসময় জনগণের এই প্রত্যাশার বিষয়ে জেলা নেতৃবৃন্দ পরিবার ও এলাকাবাসীকে আসস্থ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের শিকার আলালের পরিবারের সাথে কথা বলেন।
মামলার অগ্রগতি ও প্রয়োজনীয় করনীয় এবং অসহায় পরিবারের পাশে দাড়াতে তিনি কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথেও কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর বিকালে বগুড়া জেলা কাহালু উপজেলা মোরইল ইউনিয়নে অবস্থিত আফরিন জুট মিলে হাওয়া দেবার যন্ত্রের সাহায্য পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে আলাল হোসেন (১২) নামক এক শিশু শ্রমিক হত্যা ঘটনা ঘটেছে। আলালের বাড়ি কাহালু ঢাকন্তা গ্রামে হতদরিদ্র মোজাহার আলীর ছেলে। দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে আলাল ছিলো মেঝো ছেলে। হতদরিদ্র হবার কারণে মোজাহার আলী তার ছেলেকে পাটকলে কাজে লাগিয়ে দেয়।
এই হত্যা কান্ডের ঘটনা তার সহকর্মী আরেক শিশু শ্রমিক যতন কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়।।
গ্রেফতার সেই আসামীর বক্তব্য, এই ঘটনা খেলার ছলে দূর্ঘটনা ঘটে যায়। এই দিকে পরিবারের দাবি এটা একটি পূর্ব শত্রুতা জেরে ও পরিকল্পিত ঘটনা।
এলাকায় সরজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম দুঃখের বিষয় এত বড় একটা ঘটনার পরে গতকাল দুপুরবেলা যখন লাশ ময়নাতদন্তের পরে গ্রামে এনে দাফন দেওয়া হয় তখন থেকে এই পর্যন্ত অত্র এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেও কোন খবর নেইনি।।
এই দিকে একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি সরজমিনে সেই জুট মিলে গেলে কর্তৃপক্ষ কোন শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে দেয়নি। হত্যাকান্ডের এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply