ঝালকাঠি (রাজাপুর) থেকে সাইদুল ইসলামঃ— ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রবাসী বাবুল হাওলাদারের হত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় নাগরিকরা। তারা অবিলম্বে অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলা রেকর্ড করে ঘাতকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে এমন নৃশংস মৃত্যুর পরও কেন পুলিশ ‘অপমৃত্যুর মামলা’ করল? স্থানীয় নাগরিকদের সন্দেহ, হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই পুলিশ এ কান্ড করেছে। নিহত বাবুল হাওলাদার উপজেলার চর উত্তমপুর গ্রামের মৃত মোঃ ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার উত্তমপুর বাজারে আয়োজিত মানববন্ধনে নিহতের মা মনোয়ারা বেগম, স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও মেয়ে উর্মি বেগম, কলি বেগম, কবির হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুনঃ রাজাপুরে বখাটে ছেলের হাতে বাবা খুন

বক্তারা বলেন, মা ইলিশ ক্রয়ের অজুহাতে এই নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসের সংঘবদ্ধ গ্রুপ। তাদের নৃশংসতা অন্য যে কোনো সময়ের হত্যাকে হার মানিয়েছে। তারা বলেন, ঘাতকদের অচিরেই আইনের কাঠগড়ায় তুলে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

স্বজনদের দাবি, নিহত বাবুল দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাসে ছিলেন। তিনি স্থানীয় যুবকদের ভালোভাবে চেনেন না। ঘটনার দিন নদীতে অবরোধ (ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা) ছিলো। নিহত বাবুল একটি ব্যাগ নিয়ে পশ্চিম বড়ইয়া এলাকা থেকে আসার সময় ইলিশ নিয়ে যাচ্ছে সন্দেহে পশ্চিম বড়ইয়া গ্রামের স্থানীয় বাবু, সজিব, শামীম, শাহীন, ইলিয়াছ, কাইয়ুম, মনিরসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনের একটি দল বাবুলকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করে। এ সময় বাবুলের কাছে থাকা টাকা ও ব্যাগ নিয়ে যায় যুবকরা।

আরও পড়ুনঃ রাজাপুরে জাতীয় যুব দিবস পালিত

নিহতের ভাই মোঃ কবির হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনার সাথে জড়িত যুবকরা বিষয়টিকে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়। তবে ঘটনার পর ধীরে ধীরে বিষয়টি জানা যায়। এটি কোন অপমৃত্যু না, এটি হত্যাকান্ড। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে অপমৃত্যু মামলাটিকে হত্যা মামলায় পরিণত করে এর বিচারের দাবি জানালেও পুলিশ ময়না তদন্তে রিপোর্ট আসার অপেক্ষার কথা বলে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দোষী যুবকরা ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা উঠেপড়ে লেগেছে। এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।’

এ বিষয় রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা আগেই লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছি। এখন নিহতের স্বজনরা চাইলে মামলা করেতে পারেন। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’